পুলিশ কনস্টেবল পদে বগুড়ায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও ঠিকানা জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন চাকরিপ্রত্যাশী। ৬ মার্চ বগুড়া পুলিশ লাইনস মাঠে কনস্টেবল পদে প্রার্থী বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে ২০০ পদের জন্য ৪ হাজার ৩০০ প্রার্থী অংশ নেন।
স্থায়ী ঠিকানা জালিয়াতি এবং মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ করে বাছাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় ১৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়। পাঁচ চাকরিপ্রত্যাশীকে ওই দিনই আটক করা হয়। গত ১৭ মার্চ শনিবার চাকরিপ্রত্যাশী পাঁচ ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে বাকি তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি গত ১৮ মার্চ রোববার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রকাশ করে।
বগুড়ায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও স্থায়ী ঠিকানা জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশী গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ ব্যক্তি হলেন আইনুর ইসলাম, মনির হোসেন, মিল্লাত হোসেন, আল আমিন ও জুয়েল হাসান।
এই আট ব্যক্তিসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে সনদ ও স্থায়ী ঠিকানা জালিয়াতির মামলা করেছেন বগুড়া পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছে।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে নতুন নতুন প্রতারকের নাম জানা যাচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া আটজনের মধ্যে সনদ ও ঠিকানা জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা রফিকুল ইসলাম ও তাঁর দুই সহযোগী রয়েছে। রফিকুল জয়পুরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্টেনো কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত। তাঁর বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়। তাঁর দুই সহযোগী হলো একই এলাকার আবদুল মান্নান ও জাকির হোসেন। এর মধ্যে আল আমিন দিনাজপুর এবং আইনুর জয়পুরহাট জেলার বাসিন্দা। মিল্লাত, মনির ও জুয়েল রানার বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়।
আরও পড়তে পারেন: সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ঢাকা জিপিও
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***