পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর পানি বেড়েছে। এতে করে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং বন্যার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, আজ রোজ শুক্রবার সকালে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পনি কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে প্রায় ২৩ দশমিক ৬৩ মিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদী ২৮ দশমিক ৮০ মিটার বেড়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়ায় কুড়িগ্রাম সদরের নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া, যাত্রাপুর, চিলমারী ইউনিয়নের নয়ারহাট, কালিগঞ্জ, নারায়ণপুর, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা অষ্টমীর চর ইউনিয়নের অন্তত ২৫ টি চরে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের কাটামারির অপেক্ষায় থাকা তিল, কাউন, বাদাম, পাটসহ বিভিন্ন ধরণের ফসলের খেত। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ–নদী পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি বন্যায় রূপ নিতে পারে।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***