গতকাল রোববার প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, আট বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার পাসের হার ৬৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭৫ দশমিক ৭৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ৯০ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাশের হার ৮৫ দশমিক ৬৮। এ বছর পাশের হার ও জিপিএ ৫ উভয়ই কমেছে।
কোন পরীক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এ বছর ৩৫, গত বছর এরকম প্রতিষ্ঠান ছিল ২৪টি।
দেশের সকল শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। কেউ পাস করেনি- এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি এই বোর্ডে। সেখানে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী এবার ফেল করেছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় কমেছে পাসের হার, আর অর্ধেকে নেমে এসেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা। এ বোর্ডে পাস করেছে ৭০.৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। যা গত বছরের তুলনায় ৩.৭১ শতাংশ কম। গত বছর (২০১৪ সাল) পাসের হার ছিলো ৭৪.১৪ শতাংশ। এই বোর্ডের অধীনে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৩৯৫ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হারের দিক থেকে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা এবার ভালো করেছে। ছাত্রীদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৪ শতাংশ আর ছাত্রদের পাশের হার ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
ঢাকা বোর্ডে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠান ৩৩টি। আর কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান পাঁচটি।
কেউ পাস করেনি- এমন মাদ্রাসা দুটি। আর রাজশাহী, বরিশাল ও দিনাজপুর বোর্ডের পাঁচটি করে প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এবার উচ্চ মাধ্যমিকের কোঠা পার হতে পারেনি।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***
