জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলায় শফিক রেহমান গ্রেফতার

তারিখ:

বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পল্টন থানায় ২০১৫ সালে দায়ের হওয়া একটি মামলায় শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টায় তাকে রাজধানীর ইস্কাটনের বাড়ি থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। দুপুরের পর তাকে পাঠানো হয় ঢাকার আদালতে।

অন্যদিকে অশীতিপর এই সাংবাদিকের জামিনের আবেদন করেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের নেতা সানাউল্লাহ মিয়াসহ অন্যরা।

জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, এজাহারে তার নাম নেই। ষড়যন্ত্রেও তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মামলার কাগজপত্রে নেই।

ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম জামিনের আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের আবেদনে সায় দিয়ে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

মামলাটির এজাহারে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের এফবিআইকে ঘুষ দেওয়ার কারণে দণ্ডের ঘটনায় তা করা হয়েছে।

বাংলাদেশি এক রাজনীতিকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক সদস্যকে ঘুষ দেওয়ায় ২০১৫ সালে সিজারের কারাদণ্ড হয়।

ওই রাজনীতিকের নাম মার্কিন আদালতের নথিপত্রে উহ্য রাখা হলেও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জয়ই ওই বাংলাদেশের ওই রাজনীতিক বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। জয় নিজেও ফেইসবুকে নিজের প্রাণহানির সংশয়ের কথা লেখেন।

ওই ঘটনাটি নিয়ে ২০১৫ সালের ৩১ মে ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যা ৪ অগাস্ট পল্টন থানায় মামলায় রূপান্তরিত হয়। শফিক রেহমানকে ওই মামলায়ই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

শফিক রেহমানের বাসার বাবুর্চি আলী আজম যিনি ওই বাসাতেই থাকেন এবং সকালের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তিনি বলেছেন যারা রেহমানকে নিয়ে গেছে তারা ভোর ছয়টায় বাসার বাইরে এসেছিল এবং বাসার ভেতরে ঢোকে সাতটার দিকে।

”ওরা বলল বৈশাখী চ্যানেল থেকে আসছে সাহেবের সাক্ষাৎকার নিতে। সাহেবের কাছে জানানোর পর সাহেব বলছেন নিচে বসাও আর ওদের চা-নাস্তা দাও।”

তিনি বলেন ‘ম্যাডামের’ শরীর অসুস্থ থাকায় তিনি তার জন্য নাস্তা তৈরি করছিলেন, তাই দারোয়ানকে দিয়ে চা-নাস্তা নিচে পাঠিয়ে দেন।

আলী আজম জানান কিছুক্ষণ পর তিনি দেখেন রেহমান তিনতলা থেকে নিচে নামছেন।

”সাহেব নাস্তা না খেয়েই নামছেন দেখে আমি ভাবছি সাহেব কি যাইতেছে কেন্? নাস্তা কি না খাইয়াই যায়গা? তো আমি সামনের দিকে আগ্গাসি। সামনে আগানোর পর দেখি যে একটা লোক সামনে। এরপরে মাঝখানে হল সাহেবে- এবং আরেকজন লোক। নেমে যাইতেসে গিয়া সিঁড়ি দিয়া।”

তিনি বলেন বাসার বাইরে এসেছিল বেশ কয়েকজন লোক, কিন্তু বাসার ভেতরে ঢোকে সাদা পোশাকে তিনজন লোক।

***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***

শেয়ার করুন:

Subscribe

জনপ্রিয়

এমন আরও
সম্পর্কিত

পীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাহজাদা মো. আসাদুজ্জামান...

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের...

১স্টার স্বীকৃতি পেল পীরগঞ্জ ফুটবল একাডেমি

ফিফা এএফসি ও বাফুফে কর্তৃক নিবন্ধিত একাডেমিতে ১স্টার স্বীকৃতি...

ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে পীরগঞ্জ ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর...