রাজশাহীর তানোরে এক কৃষকের রান্নাঘরে পাওয়া গেল ১২৫টি গোখরা সাপ। কৃষক আক্কাস আলী বলছিলেন কিভাবে গতকাল তাঁর বাড়িতে হঠাৎ পাওয়া গেছে ১২৫টি গোখরা সাপ। “গতকাল বিকেলে আমি বাজারে ছিলাম। হঠাৎ ছেলের ফোন। বললো, বাবা তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতে হবে। অনেক সাপ বাড়ির মধ্যে। বাজার থেকে ফিরে দেখি গোটা বাড়ি মানুষে ভর্তি, জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। সবাই লাঠি দিয়ে সাপ মারছে। গর্তের মধ্যে খোঁচা দিলে তিন-চার-পাঁচটা করে সাপ বেরুচ্ছে।”
গতকাল বিকেলে বাড়ির রান্না ঘরে প্রথম একটি গোখরো সাপ দেখতে পান তাঁর স্ত্রী। এরপর খবর পেয়ে প্রতিবেশিরা এসে আবিষ্কার করেন রান্না ঘরের এক গর্তে লুকিয়ে আছে আরও বহু সাপ।
আক্কাছ আলী জানান, তার বাড়িটি মাটির তৈরি এবং অনেক পুরনো। তাই হয়তো সাপ বাসা বেঁধেছে। বাড়িতে আরও সাপ আছে বলেও ধারণা তার। ভয়ে এখন আর তারা বাড়িতে থাকছেন না। তাঁর পরিবার গতরাত কাটিয়েছে কাছেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে।
তিনি আরও জানান, একেকটা সাপ ১৬ থেকে ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা। অনেক সাপের ডিমও পাওয়া গেছে। স্থানীয়ভাবে এই সাপকে গোমা সাপ (গোখরা) বলে। খুবই বিষাক্ত। এর কামড়ে মানুষ মারা যায় খুব তাড়াতাড়ি।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর বুধপাড়ায় মাজদার আলীর শোবার ঘরে ২৭টি গোখরার সন্ধান পাওয়া যায়। শহরের বুধপাড়ার বাসিন্দা মাজদার আলী রাতে টেলিভিশন দেখার সময় হঠাৎ লক্ষ্য করেন খাটের নিচ থেকে একটি সাপ বেরিয়ে এসেছে। মুহূর্তের মধ্যেই সাপটি ড্রেসিং টেবিলের পেছনে চলে যায়। তখন ড্রেসিং টেবিলের পেছনে টর্চ লাইট দিয়ে তিনি দেখেন সেখানে তিনটি সাপ রয়েছে। এরপর ঘরের ভেতর গর্ত খুঁড়ে তারা ২৭ টি সাপ দেখতে পান। সেগুলো পিটিয়ে মারা হয়।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***