ইয়াবার অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ হচ্ছে

তারিখ:

ইয়াবার অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ সংযোজন করে নতুন আইন হচ্ছে

‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে চিহ্নিত করে মরণনেশা ইয়াবার অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযোজন করে নতুন আইন প্রণয়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আলাদা শাস্তির বিধানের ধারাও নতুন করে সংযোজন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৭’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনিক কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে সামনে রেখে আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশে মাদকমুক্ত, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।

দেশে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধ কার্যক্রমকে আরো ফলপ্রসু করার জন্য সরকার ইতোপূর্বে প্রণীত আইন ও বিধি-বিধান যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন আইন প্রনয়নের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ১৯৯০ সালের একটি আইন বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মাদকের যে অপব্যবহার, ব্যবসা, মাদকের চোরাচালান বেড়েছে তাতে বিদ্যমান আইন দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের দমন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নতুন করে সংযোজন হয়েছে ইয়াবার অপব্যবহার । মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দেশের ভিতরে ঢুকছে ইয়াবার ছোট-বড় চালান। এরপর এই ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে-গঞ্জে। তরুণ-যুবকরা এ মরণনেশায় আসক্ত হচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন: পঞ্চাশ পিস ইয়াবাসহ পীরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ইয়াবা ঘিরে দেশজুড়ে পরিবারগুলোয় একরকম অশান্তি বিরাজ করছে। কিন্তু আইনের দুর্বলতার কারণে ইয়াবা পাচার, ব্যবসা ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। সূত্র জানায়, এ অবস্থায় বিদ্যমান আইনের দুর্বলতার কারণে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আবারও একই ব্যবসায় জড়িত হচ্ছেন। সরকার ও প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করলেও মাদককে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘ ইয়াবার অপব্যবহার ও ভয়াবহতা রোধে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। মাদকাসক্তিমুক্ত, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।’

সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***

1 মন্তব্য

  1. যত দ্রুত কার্যকর হয় ততই দেশ ও দশের মঙ্গল… আমরা চাই এই আইন কার্যকর হোক.. দেশে যে হারে ইয়াবাসেবী বাড়তেছে তা সত্যিই ভয়ংকর…

মন্তব্য বন্ধ।

শেয়ার করুন:

Subscribe

জনপ্রিয়

এমন আরও
সম্পর্কিত

সওজ প্রকৌশলী ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ ১২ কোটি টাকার

প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও...

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বেরোবি শিক্ষার্থী তুষারের আত্মহত্যা

রংপুরের সাহেবগঞ্জের তিনমাথার মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং বেরোবির শিক্ষার্থী...

বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ

দেশে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান প্রচার...

রংপুরে মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে এএসআই নিহত

রংপুরে মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পিয়ারুল ইসলাম...