দেশের সব পুরনো লাইব্রেরি ‘ই-লাইব্রেরি’ হচ্ছে

তারিখ:

‘দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ -এর সহায়তায় দেশের লাইব্রেরিগুলোকে সময়োপযোগী ও আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে তার দফতরে সাক্ষাৎ করতে এলে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল, বাংলাদেশের লাইব্রেরির বিষয়ে একটি সার্ভে পরিচালনা করলে প্রতিমন্ত্রী এই সার্ভের বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে ই-লাইব্রেরি চালুর জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানালে প্রতিনিধি দল প্রতিমন্ত্রিকে জানান, দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে ই-লাইব্রেরি চালুর বিষয়ে আগ্রহী।

জুনাইদ আহমেদ পলক এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করা আমাদের ভিশন। তিনি প্রতিনিধিদলকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে একটি শিক্ষিত জাতি অপরিহার্য।

এ কারণে তিনি দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের এই প্রস্তাব আমরা সাদরে গ্রহণ করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান এবং পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

পলক এ সময় অারও বলেন, আমরা খুব শিগগিরই ‘পিপলস কল সেন্টার’ নামে একটি কল সেন্টার চালু করতে যাচ্ছি যেখানে আমরা এই ই-লাইব্রেরি কার্যক্রমকেও যুক্ত করতে পারি। ফলে আমাদের ই-লাইব্রেরি কার্যক্রম প্রকৃতই গণমুখী হবে এবং আগামী প্রজন্ম বই পড়ায় আগ্রহী হবে। তিনি জানান, সারাদেশে স্থাপিত ৩ হাজার ৫০০টি কম্পিউটার ল্যাব এবং নির্মাণাধীন আরও ২ হাজার কম্পিউটার ল্যাব (যার মধ্যে ৬৪টি কম্পিউটার ল্যাব কাম ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব)-এ আমরা ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান প্রদান করা হবে এবং ই-লাইব্রেরি সুবিধা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও দেশে বিদ্যমান সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারকে ই-লাইব্রেরী কার্যক্রমের আওতায় আনার বিষয়েও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপ-পরিচালক ম্যাট পাসির নেতৃাত্বাধীন এই প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহকারি পরিচালক (ব্যবসা উন্নয়ন) টমাস ডোহারটি এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের ব্যবসা উন্নয়ন সমন্বয়কারী নাবিলা রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় ডেটা সেন্টারের পরিচালক তারেক বরকতউল্লাহসহ অনেকে।

প্রসঙ্গত, পুরনো লাইব্রেরি গুলোকে ই-লাইব্রেরি করা হলে প্রথম ধাপেই থাকবে ডিজিটাল ক্যাটালগ। এই ক্যাটালগে সব তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকবে। ফলে বই খুজঁতে গেলে বইয়ের বা লেখক, প্রকাশক, বছর ও অন্যান্য তথ্যর যে কোনও একটি দিয়ে সার্চ দিলে খুব্র দ্রুত প্রয়োজনীয় বইটি খুঁজে পাওয়া যাবে।

জানা গেছে, বিশ্বে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ১৯৯৪ সালে ই-লাইব্রেরি গড়ে তোলে। সংস্থাটি তাদের নিজস্ব তথ্যগুলো স্ক্যান করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে। তথ্যপ্রযুক্তি লাইব্রেরির মূল কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে লাইব্রেরিগুলোতে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়। সাধারণ পাঠাগারের সঙ্গে এর পার্থক্য হলো তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা ব্যবহার করে লাইব্রেরির কাজগুলো আরও দ্রুত ও যেকোনও জায়গা থেকে লাইব্রেরির বই পড়ার সুবিধাগুলো পাওয়া।

***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***

শেয়ার করুন:

Subscribe

জনপ্রিয়

এমন আরও
সম্পর্কিত

সওজ প্রকৌশলী ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ ১২ কোটি টাকার

প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও...

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বেরোবি শিক্ষার্থী তুষারের আত্মহত্যা

রংপুরের সাহেবগঞ্জের তিনমাথার মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং বেরোবির শিক্ষার্থী...

বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ

দেশে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান প্রচার...

রংপুরে মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে এএসআই নিহত

রংপুরে মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পিয়ারুল ইসলাম...