দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নে নূরানী তালিমুল কোরআন হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসায় ৯ বছরের শিশু আবু সাঈদকে তিনদিন ধরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রেখে অ-মানষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।
কমলপুর ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলীর ৯ বছরের শিশু পুত্র আবু সাঈদ এ মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করত। চুরির অপবাদ এনে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. রেজাউল ইসলাম, মাওঃ মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং হাফেজ মাওঃ মো. শরিফুল ইসলাম গত শুক্রবার শিশু আবু সাঈদকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে হাত পা বেঁধে তিনটি লাঠি একত্রিত করে বেদম প্রহার করেন। নির্যাতনে সাঈদ জ্ঞান হারিয়ে ফেললেও নির্যাতন থামেনি। একই কায়দায় শনিবার ও রবিবার রাতেও তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
এলাকাবাসীর ভয়ে নির্যাতনকারী তিন শিক্ষক মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়েছিলো। তবে পুলিশ ওই তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। দিনাজপুরের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছেন। মঙ্গলবার রাতেই শিশুটির বাবা তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***