গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রংপুরের বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আসামি পলায়ন করার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিকাশ এজেন্ট শাহারিয়ার সুমনকে গুলি করে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভরসা কাজল নামে এক আসামিকে আটক করেছিলো পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়।
পুলিশের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২৩ জুলাই নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকায় বিকাশ এজেন্ট শাহারিয়ার সুমনকে গুলি করে পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় আহত শাহারিয়ার সুমন এখনও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভরসা কাজলকে আটক করে বেরোবি পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে ভরসা কাজল টয়লেটে গিয়ে কৌশলে টয়লেটের জানলা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিকালের দিকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এসআই এরশাদ আলীসহ পুলিশের ৩ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
এ ঘটনার ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম কিছু জানেন না বলে জানান। পরে পুলিশের আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে কল দিলেও তারা তা রিসিভ করেননি।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এসআই এরশাদ আলী মোবাইল ফোনে জানান, তাকেসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এসআই এরশাদ আলীর দাবি, ’২২ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত আমি ডিউটি করি। পরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যাই। বৃহস্পতিবার আসামি পালিয়ে যাওয়ার কথা শুনে আমি পুলিশ ফাঁড়িতে আসি। আমি কোনও আসামিকে আটক করিনি বা আমার উপস্থিতিতে কোনও আসামি পালিয়েও যায়নি।’
পুলিশের অন্য এক সূত্র জানায়, ভরসা কাজলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেড় ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। এর আগে তাকে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে সে গা-ঢাকা দেয়।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***
সবকিছুতেই যদি এমন অবহেলা হয়! হায়রে পুলিশ!
কোন মন্তব্য নাই! No comments!