ইয়োগা বাংলায় যার প্রকৃত নাম যোগাসন। সাধারণভাবে আসন নামেই প্রচলিত। আসন শব্দের সাধারণ অর্থ হলো― যার উপর উপবেশন করা যায়। যেমন চেয়ার, মাদুর, টুল ইত্যাদি। যোগশাস্ত্রে আসনের ভিন্নতর অর্থ বহন করে। দেহকে নির্দিষ্ট বা বিশেষ ভঙ্গিতে বিন্যস্ত বা স্থাপিত করে কিছুক্ষণ অবস্থান করার প্রক্রিয়াই হলো আসন। যোগাসনের উৎপত্তি ও বিকাশ ভারত বর্ষে। ধীরে ধীরে এটা সারা পৃথিবী ছেয়ে গেছে।
যোগাসনের মাধ্যমে দেহকে সুস্থ, নমনীয় ও সহনশীল করা হয়। হাজার বছরের পুরনো ভারতীয় এই শারীরিক ও মানসিক সাধনার দর্শন, প্রসার ও অনুশীনের জন্য ২১শে জুনকে আন্তর্জাতিক ইয়োগা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য জাতিসংঘে আহবান জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী নিজেই। মোদির দাবিতেই জাতিসংঘ ২০১৪ সালে এই দিনকে আন্তর্জাতিক যোগব্যায়াম দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এ যেন রাজপথ নয়, ‘যোগপথ’। রবিবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের সূচনালগ্নে দিল্লির কিংস এভিনিউর রাজপথে উপস্থিত উত্সাহী মানুষের ঢল দেখে এ কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিনটি উদ্যাপন উপলক্ষে এ দিন রাজপথে উপস্থিত হয়েছিলেন ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের ও পেশার মানুষ এ দিন যোগ দিবস অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বাদ যায়নি নেতা-মন্ত্রী থেকে অভিনেতারাও।
ভারতের এই উদ্যোগকে সম্মতি দিয়ে বিশ্বের ১৭৭টি দেশে পালিত হচ্ছে আজকের এই দিনটি। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সাথে নিউ ইয়র্কে দিবসটি উদযাপনে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ।
যোগব্যায়ামের উপকারিতা প্রসঙ্গে মোদি বলেন, নিয়মিত যোগব্যায়াম অভ্যাসের ফলে ব্যক্তিমানুষের মধ্যে স্থিরতা তৈরি হয়। এ ছাড়া যোগব্যায়াম ধ্বংসাত্মক মনোভাব দূর করতে সাহায্য করে। বিশ্বব্যাপী যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে, যোগব্যায়াম তার বিপরীতে আত্মবিশ্বাস ও শক্তি সৃষ্টি করতে পারে। সুস্বাস্থ্য এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ মন ভয়কে জয় করার ভিত্তি হচ্ছে যোগব্যায়াম। যোগব্যায়াম বিক্রিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এটি মানবতার জন্য। বিশ্ব শান্তির জন্য।
ভারতে এই যোগব্যায়াম কর্মসূচির আয়োজন করে ভারতের আয়ূশ মন্ত্রণালয় (আয়ূর্বেদ, যোগ ও নিউরোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধ ও হোমিওপ্যাথি)।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***