ইসলামপন্থী এক নারী অধ্যাপক দাবি করেছেন, আল্লাহ মুসলিম পুরুষদের অমুসলিম নারীদের ধর্ষণ করার অনুমতি দিয়েছেন। তাদের লজ্জা দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ এ অনুমোদন দিয়েছেন।
মিসরের কায়রোর বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুয়াদ সালেহ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেছেন।
সংবাদমাধ্যম দি ইনকুইজিটরের বরাত দিয়ে জি নিউজ জানিয়েছে, যৌনদাসীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পথ আল্লাহ মুসলিম পুরুষদের জন্য খোলা রেখেছেন, এটা বিধানসম্মত।
তবে সুদাহ সালেহ বলেন, কেবল মুসলিম ও তাদের শত্রুদের মধ্যে বিধিসম্মত যুদ্ধের সময় যৌনসম্পর্ক স্থাপনের জন্য নারীদের দাসী করা যেতে পারে।
শত্রুর উদাহরণ হিসেবে এ অধ্যাপক ইসরায়েলের নাম বলেন। তাঁর মতে, ইসরায়েলের নারীদের যৌনদাসী বানানো এবং ধর্ষণ করা পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য।
সুদাহ সালেহ বলেন, নারী যুদ্ধবন্দিরা হলো আপনার মালিকানার। তারা সেনাপতির বা একজন মুসলিমের সম্পত্তি এবং তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যেভাবে করেন, সেভাবেই তাঁর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপকের এমন মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁদের মতে, ইসলামের নামে মিথ্যা প্রচার চালাতেই এমন কথা বলা হচ্ছে।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***