চাদের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান এবং প্রধানত ধর্মীয় কারণেই সেখানে বোরকা পরা হয়। বোরকার কারণে সাহারার তপ্ত ও ধূলিময় আবহাওয়া থেকেও রক্ষা পান নারীরা।
তবে সোমবারের বোমা হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হবার পর দেশটিতে বোরকা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী, কালজেবুয়ে পাহিমি দুবেত এই ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী সোমবারের আত্মঘাতী হামলার জন্য নাইজেরীয় জঙ্গিগোষ্ঠি বোকো হারামকে দায়ী করেন। ধরা পড়ে যাওয়া ঠেকাতে বোকো হারাম এখন নারী আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের বেশি ব্যবহার করছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় চাদের রাস্তা ঘাটে প্রকাশ্যে বোরকা পড়া যাবে না। এমনকি নিজেদের বাড়ি ঘরেও বোরকা পড়া যাবে না।
বুধবার ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী কালজেবুয়ে পাহিমি বলেন, “সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে বোরকা ও নেকাবের আশ্রয় নিচ্ছে। বোরকার ছদ্মবেশে আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে। এখন থেকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী বাজারে যত বোরকা ও নেকাব আছে তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে”। বোকো হারামকে প্রতিরোধে চাদ নতুন আঞ্চলিক বাহিনী গঠন করেছে। চাদে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলাগুলোর দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম। তবে বোকো হারাম এর আগে চাদে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিল।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***