দুর্নীতি একটি জাতির উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। দুর্নীতি এমন একটি অপরাধ যা ঘটছে নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শুরু হয়ে শেষ হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দুর্নীতি একটি স্বীকৃত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। এর প্রভাবে সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে, চলছে অবৈধভাবে সম্পদ আহরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এ হীন প্রতিযোগিতার দরুণ নীতি-নৈতিকতার লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকছে না।
ফলশ্রুতিতে একজন চাকরি প্রার্থী সেই চাকরি বেছে নিচ্ছে যেখানে দুর্নীতির অবাধ সুযোগ রয়েছে এবং চাকরি নিশ্চিত করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করছে দুর্নীতির মাধ্যমেই। সমাজের সর্বত্র দুর্নীতি বিস্তার লাভ করছে, শোষণের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে সেবা গ্রহীতা।
সমাজের সর্ব শ্রেণিপেশার অসহায় মানুষগুলো যেকোন ধরণের সেবা গ্রহণের প্রাক্কালে ঘুষ প্রদান করছে একান্ত বাধ্য হয়েই। কতকগুলো শকুন আর হায়েনার দল আখের গোছাচ্ছে সদর্পে। দেখিয়ে দিচ্ছে ক্ষমতার কত ক্ষমতা। জানান দিচ্ছে ক্ষমতার অবয়বে একজন জানোয়ারের সীমাহীন লোভ লালসার।
গড়ে উঠছে বড় বড় অট্টলিকা, স্বীয় রমনীর কালো চামড়া শোভা পাচ্ছে সোনার মোড়কে, ফুলে উঠছে আত্মীয়-স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। দুর্নীতি পরায়ণ জাতি মনে মনে ভাবছে গর্জে উঠা বড় অট্টলিকাটি কেবলমাত্র তার।
আরও পড়তে পারেন: ২০১৮ সালে ২২ দিন সরকারি ছুটি
স্বীয় রমনীর কালো চামড়ায় শোভা বর্ধনকারী সোনার মোড়কটি কেবলমাত্র তার। ফুলে ফেঁপে ওঠা আত্মীয়-স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি কেবলমাত্র তার। গরীব দুংখী মেহনতি মানুষের শত স্বপ্ন আর সাধনার, ত্রিশ লক্ষ শহীদ এর রক্তের দামে কেনা, কত মা-বোনের নির্মম আহাজারি আর যন্ত্রণার, শত ত্যাগ আর তিতিক্ষার, অপার সম্ভাবনার পুরো দেশটি যে তাদের সেটা তারা বিশ্বাস করেনা। তারা বিশ্বাস করেনা প্রাচুর্যে ভরা সমৃদ্ধ একটি দেশকে, সবুজে ঘেরা মমতাময়ী মাকে। এখানেই এরা ছোটলোক। এরা ছোটলোক মননে আর মানসিকতায়।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***