রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ভেজাল বিরোধী অভিযান না থাকার কারণে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন বেকারিগুলোতে লাচ্ছা সেমাই তৈরী করা হচ্ছে। পীরগঞ্জ এখন ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির কারখানা। অনুমোদনহীন এইসব লাচ্ছা সেমাই জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাথাযথ তদারকি এবং স্যানেটারি কর্মকর্তার পরিদর্শন না থাকার কারণে ব্যাঙের ছাতার মত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা এসব কারখানাগুলোতে লাচ্ছা সেমাই তৈরি করা হচ্ছে।
অনবিজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য জ্ঞান সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা না থাকায় এসব কারখানায় কারিগররা অপরিষ্কার এবং নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই তৈরি করছেন। এক শ্রেণীর অসাধু কারখানার মালিক অধিক মুনাফার আশায় নামকরা কোম্পানির প্যাকেট ছাপিয়ে নকল সেমাই ভরে বাজারজাত করছেন। সেমাই তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের আটা, পাম তেল, ডালডা, ক্ষতিকর বিষাক্ত রং ইত্যাদি।
অনুসন্ধানে জানা যায় ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছরই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠে অসংখ্য মৌসুমি সেমাই কারখানা। যার অধিকাংশেরই বিএসটিআই এর অনুমোদন নেই। সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন কারখানায় তৈরি কাঁচা সেমাই খোলা ময়লা আবর্জনা স্তুপের পাশেই রোদে শুকাতে দেন এবং শুকনো লাচ্ছা সেমাই অনেক দিনের পুরোনো তেলে ভাজেন। খালাশপীর বন্দরের কাশেম বেকারিতে গেলে দেখা যায়, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল প্রমোশন অফিসার ডা. জাবিউল ইসলাম বলেন, “এসব লাচ্ছা সেমাই অস্বাস্থ্যকর, এর ফলে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জন্ডিস, টাইফয়েড সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হবার আশংকা রয়েছে।” পীরগঞ্জ উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা বলেন- “কিছু কিছু জায়গায় সেমাই তৈরী চলছে তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***