থানায় মামলা করেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী। পুলিশ বলছে আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু আসামীদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাদী পক্ষের দাবি, ‘আসামীপক্ষ খালাশপীর হাট, শ্যামপুর বাজার, কাদিরাবাদ বাজার ও কুমেদপুর বাজারে মটরসাইকেল নিয়ে দিনদুপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বলছে সেলিম মন্ডলকে আমরা হত্যাই করতে চেয়েছিলাম। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। এবার ধরলে জীবনে শেষ করে দিব।’
ঘটনাটি ঘটেছে পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালি ইউনিয়নে। জানা গেছে ধান ক্রয় করার জন্য অগ্রীম টাকা নিয়ে ডিজিটাল মিটারে ২২মন ধানকে ১৬মন করায় বায়নার টাকা আটককে কেন্দ্র করে খালাশপীর বন্দরে গত ৭ই জুন দুই পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এতে ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম মন্ডল উভয় পক্ষকে মীমাংসার জন্য ডাকলে আসামীগণ অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র লাঠি-ছুরি ও লোহার রড দ্বারা সেলিমকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় সেলিমের ছোটভাই সহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করা হয়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় সেখানে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে ঠাকুরদাস লক্ষীপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর পুত্র শাহিন মিয়াকে ১নম্বর আসামী করে ১২ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।
মামলা গ্রহণের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই জামিউল ইসলাম শফিকুল ইসলাম শফি নামে একজন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অপরদিকে আসামীগণের মধ্যে একজন বাদী হয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বাদী সেলিম মন্ডল জানায়, আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আসামীদের ধরতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***