পীরগঞ্জে ২৫ বছরের যুবক কর্তৃক ১০ বছরের শিশু বলাৎকার এর ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে শিশুর মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) ৯ (১) তৎসহ ২০১ কোডে ০২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।
মামলা নং- ২৬/৩১৬, জিয়ার নং- ৩৭৮৮ (৩) ০১, তারিখ- ১৫/০৯/২০২০ খ্রি. মামলা সূত্রে জানা গেছে গত ৩১ শে আগস্ট বিকালে উপজেলা টুকুরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের আরিফুল ইসলামের পুত্র সাজেদুল ইসলাম (২৫), পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবুল কালামের নাবালক পুত্র টুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র মোজাহিদ (১০) কে চকলেট দেওয়ার প্রলোভনে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার ঘরে থাকা চকোলেট দিয়ে হঠাৎ গামছা দিয়ে মুখ বেধে বলাৎকার করে।
এতে শিশুটির রক্ত ক্ষরণ হয় এবং ঘরের বিছানা পত্র রক্তাক্ত হয়ে যায়। এক সময় ধর্ষক সাজেদুল শিশুটিকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সটকে পরে।
শিশুটির রক্তক্ষরণের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকলে পরিবারের লোকজন প্রথমে টুকুরিয়া বাজারের স্থানীয় ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা করে। এতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই দিন রাতেই পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাতভর চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শিশুটি ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরে।
এদিকে বলাৎকারের আলামত নষ্ট করার অভিযোগে সাজেদুল ইসলামের বাবা মৃত. শুকাইডাং এর পুত্র আরিফুল ইসলাম কেও এই মামলা আসামী করা হয়েছে।
শিশু বলাৎকার এর বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুন অর রশিদ-এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলাৎকারের আলামত শিশুটির রক্তমাখা হাফ প্যান্ট জব্দ করা হয়েছে এবং আসামীদের ধরতে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***