পীরগঞ্জে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে টাকা পকেটস্থ করলেন উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দ্বারিকামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবার রহমান। এছাড়াও বিদ্যালয় পুনঃসংস্কারের ২লক্ষ টাকার কাজ কার্যাদেশ অনুযায়ী না করার ক্ষোভে ফুসে উঠছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এসএমসি’র সদস্য, অভিভাবক এবং এলাকার শিক্ষানুরাগী হাজারো মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় এক মাস পূর্বে বিভিন্ন প্রজাতির ৭টি গাছ কেটে বিক্রি করে পুনরায় গত ২রা অক্টোবর শুক্রবার ঠিক জুম্মার নামাজের সময় ২টি আম গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী বাধা প্রদান করেন। বিষয়টি স্থানীয়রা গণমাধ্যম কর্মী ও উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য বাদশা মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া, আবুল হোসেনের পুত্র আলফাজুর রহমান, সমস উদ্দিনের পুত্র ফুল মিয়া, মেছের উদ্দিনের পুত্র মোকছেদ আলী, আহম্মদ আলীর পুত্র বাবলু মিয়া সহ শতাধিক অভিভাবক জানান প্রধান শিক্ষক সরকারি প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তিগত মনে করে নিজ খেয়াল খুশিমত কমিটি গঠন, উন্নয়ন কার্যক্রম সব কিছু একাই করেন। আমরা বিদ্যালয় মাঠের গাছ কেন কাটল এর জবাব চাই।
আরও পড়তে পারেন: পীরগঞ্জে ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী মানববন্ধন
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “বিদ্যালয়টি আমার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর সেহেতু গাছ কাটার কোন অনুমতি প্রয়োজন হয় না।” ২লক্ষ টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে যে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে আমি তা বুঝিনা। আমি প্রধান শিক্ষক আমার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সব কিছু করব।”
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুজ্জামান সরকার বলেন, “অফিস বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর নিকট মোবাইল ফোনে অভিযোগ পেয়ে কেটে ফেলা গাছ অন্য স্থানে না নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে।”
এলাকাবাসী অর্ধ লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রি করার টাকা ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ২লক্ষ টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে ও কার্যাদেশ অনুযায়ী করা ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***