সরকারি শাহ্ আব্দুর রউফ কলেজের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শরিফুল ইসলাম (সুরেন্দ্রনাথ) এর বাইসাইকেল কয়দিন আগে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে চুরি হয়। দৈনন্দিন জীবনে বাইসাইকেলটা তাঁর কাছে ছিলো একমাত্র বাহন। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তার প্রিয় সাইকেলটা চুরি যাওয়ার পরে মুষড়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি নজরে আসে এলাকার নাফিউল আলম নিষাদের।
সাইকেল চুরির বিষয়টা জানার পরে নাফিউল আলম তার বন্ধুদের জানালে সবাই উদ্যোগী হয়ে এবং সবার সহযোগিতায় তাকে একটা নতুন সাইকেল উপহার দেওয়া হয়। নতুন সাইকেল পাওয়ার পরে শরিফুল ইসলাম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। শরিফুল ইসলাম বলেন, “ছেলেগুলোর ঋণ আমি শোধ করতে পারবোনা। আল্লাহ ওদের ভালো করুক সেই দোয়া করি।”
নাফিউল আলম জানান, “আমার বাড়ি কলেজের কাছাকাছি হওয়াতে ছোটবেলা থেকে চাচাকে চিনি। তাছাড়া একসময় এই কলেজেই আমি পড়েছিলাম। আর অবসর সময়ে আমি আর আমার বন্ধুরা কলেজে আড্ডা দেই। তাই চাচার সাথে আমাদের সবার একটা অন্তরঙ্গতা ছিলো। যেদিন জানতে পারি চাচার বাইসাইকেলটা হারিয়ে গেছে সেদিন তার বিষণ্ণতা দেখে খারাপ লাগছিলো। সিদ্ধান্ত নিলাম যে বন্ধুরা মিলে তাকে একটা বাইসাইকেল কিনে দেই। প্রথমে চেয়েছিলাম একটা পুরাতন সাইকেল কিনে দিবো। সেভাবে বন্ধুদেরকে জানালাম। কিন্তু বন্ধুদের কাছ থেকে এমন সাড়া পেতে থাকলাম যে নতুন সাইকেল কিনে দেওয়ার পয়সা হয়ে গেলো। তারপরে একটা নতুন সাইকেল ই কিনে দিলাম আমরা।”
রেজওয়ানুল ইসলাম রেইজিন জানান, “নিষাদ উদ্যোগ নেওয়ার পরে আমাদের বন্ধুদের ভিতর থেকে চমৎকার সাড়া পাচ্ছিলাম। তাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে একটা চমৎকার কাজ আমরা করতে পেরেছি। আমাদের বন্ধুদের উপরে আমরা কৃতজ্ঞ।”
নিষাদ জানায়, “কাউকে উপকার করতে পারার ভিতরে যে এতো ভালো লাগা কাজ করে যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। আর বন্ধুরা থাকলে মনে হয় কোনকিছুই অসম্ভব না।”
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***