রংপুরের পীরগঞ্জে ২’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাদারগঞ্জ হাট ডিজিটাল হাটে রুপান্তরিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে মাদারগঞ্জ হাটটি উপজেলা ছাড়িয়ে কয়েকটি জেলায় সুনাম ছাড়িয়েছিলো। গত অর্থ বছর উপজেলা পরিষদ থেকে মাদারগঞ্জ হাটটি ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা লিজে সর্বোচ্চ ইজারাদার হিসেবে হাটটি লিজ নেন আহসান হাবিব প্রধান।
হাট ইজারাদার নিজ অর্থায়নে জনদুর্ভোগ কমাতে কর্দমাক্ত স্থানে রাবিস এবং জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে আধুনিক মানের ৪টি সেড নির্মাণ, হাটের ভিতরে যাতায়াতের জন্য রাস্তা পাকাকরণ করেছে। এছাড়ও চুরি ছিনতাই রোধে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ৩টি নতুন সেড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ইজারাদারের।
এদিকে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বিক্রয়ের জন্য সরকারি নির্ধারিত টোলের চেয়েও কম মূল্যে টোল আদায় করা হচ্ছে। রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গরু ব্যবসায়ীগণ গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য হাটে আসেন। এসব ব্যবসায়ীদের সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এব্যাপারে হাট ইজারাদার আহসান হাবিব জানান, ২ একর ৮৮ শতক জমির উপর হাটটি লিজ নেওয়া হলেও অবৈধভাবে একবারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মোকসেদ আলী, জিল্লুর রহমান, বাবু খাঁসহ ১০/১৫ জন ৩৫ শতক জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করে দখলে রয়েছে।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ঝুকিপূর্ণ মেহগনি গাছ এবং কয়েকটি বড় গাছের ডালপালা অপসারণ প্রয়োজন বলে জানান ইজারাদার এবং হাট সংশ্লিষ্টগণ। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি জানান, মাদারগঞ্জ হাট সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***