রংপুরের পীরগঞ্জে ভিজিএফ’র গম উদ্ধার এর ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। কালোবাজারে বিক্রি করা ২০ হাজার ৬০০ কেজি (৫১৫ বস্তা) গম উদ্ধার করে পীরগঞ্জ পুলিশ। গত ০৩ জুলাই সোমবার পীরগঞ্জ থানায় ওই মামলাগুলো করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তা।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায় ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে হতদরিদ্রদের জন্য উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে গম বরাদ্দ দেয়। প্রতিটি ইউনিয়নের তালিকাভূক্ত কার্ডধারীদের মাঝে সাড়ে ১২ কেজি করে গম বিতরণের লক্ষে ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপজেলার খাদ্যগুদাম থেকে বরাদ্দকৃত গম উত্তোলন করেন। ঈদের আগের দিন রোববার এসব গম বিতরণ করার কথা ছিল। এরমধ্যে উপজেলার ১১ নং পাঁচগাছী ও ৮ নং রায়পুর ইউপিতে নির্ধারিত তারিখেই গম বিতরণ করা হয়। কিন্তু কুমেদপুর ইউপিতে নির্ধারিত তারিখে সকাল থেকে কিছু গম দিয়ে দুপুরের পর তা অজ্ঞাত কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়।
ঈদের পরের দিন আবারো কার্ডধারীদের মাঝে ওই গম বিতরণ করা হয়। কালোবাজারীর মাধ্যমে ক্রয় করে ২০ হাজার ৬০০ কেজি (৫১৫ বস্তা) গম ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদের গুদামসহ ৩ ইউনিয়ন পরিষদের পাশের বিভিন্ন ব্যক্তিগত গুদামে মজুদ করা হয়। গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমল কুমার ঘোষ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুবীর কুমার দত্ত পীরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় পৃথক অভিযান চালান।
অভিযান চালিয়ে কুমেদপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্যের গুদামসহ রসুলপুর বাজারের ৪টি গুদাম থেকে ১৫ হাজার ৬৮০ কেজি, পাঁচগাছীর কদমতলির এক গুদাম থেকে ২ হাজার ১২০ কেজি এবং রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের এক বাড়ী থেকে ২ হাজার ৮০০ কেজি গম উদ্ধার করেন।
গত ০২ জুলাই রোববার উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদী হয়ে রায়পুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের নবাব আলীর ছেলে রানা মিয়ার নামে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। গত সোমবার কুমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ, রসুলপুর গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আতিয়ার রহমান, খেতাব উদ্দিনের ছেলে ওহেদ আলী, ভোলা মিয়ার ছেলে মাসুদ মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলী, মাহমুদপুর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে গোলাপ মিয়া এবং পাঁচগাছী ইউপি’র সাদুল্যাপুর গ্রামের ফুল মিয়া মন্ডলের ছেলে রুমন মন্ডলের নামে উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুবীর কুমার দত্ত বাদী হেয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম সত্যতা স্বীকার করে জানান- ‘আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযানসহ মামলাগুলোর তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***