কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে রংপুরের পীরগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে জনজীবনে দেখা দিয়েছে নাভিশ্বাস। টানা ভারি বর্ষণে অল্প আয়ের খেটেখাওয়া মানুষদের কষ্ট হয়েছে।
গত বুধবার ০৯ আগস্ট রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে টানা তিনদিন। তিনদিনের টানা ভারি বর্ষণে উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি। ডুবে গেছে গ্রামীণ কাঁচা সড়কসহ বেশ কিছু রাস্তা।
আখিরা নদী ও বিল এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে। তিনদিনের টানা ভারি বর্ষণে আর উজান থেকে নেমে আসা পানি এক হয়ে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে উপজেলার শানেরহাট, ভেন্ডাবাড়ী, পাচঁগাছি, বড়দরগাহ, চতরা ও টুকুরিয়া ইউনিয়নের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। ওই এলাকাগুলোর বেগুন, মরিচ ও পটল ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে শতাধিক পুকুর। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বড়বিলার পানি। পানিতে ডুবে গেছে আশপাশের জমি।
উপজেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে এ বন্যায় পীরগঞ্জে হাইব্রীড, উফসী ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ২৬৫ হেক্টর বীজতলা বিনষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া ৮ হাজার ১১০ হেক্টর রোপা আমন ও ১১৫ হেক্টর শাকসবজী বিনষ্ট হয়ে গেছে।
পানিতে ডুবে গেছে পীরগঞ্জ মহাবিদ্যালয় আর পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। খাদ্য গুদামে জমে গেছে পানি। উপজেলা পরিষদে ঢোকার রাস্তায় পানি জমে হয়ে গেছে চলাচলের অযোগ্য।
আরও পড়তে পারেন: পীরগঞ্জে ৩ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ৪ বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কার
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং তা উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করায় বৃষ্টির প্রবণতা আরো তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আলী জানান, গত ১২ ঘণ্টায় রংপুরে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ নিয়ে ৩ দিনে বৃষ্টি হয়েছে ৩৪০ মিলিমিটার।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***
আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা থাকবেনা। জনজীবন আবার স্বাভাবিক হবে।