রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সদ্য জাতীয়করণকৃত বিরামপুর আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চতরা হাটের পাশে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, চতরা হাটের স্থানীয় চিকিৎসক আজাহার আলী গত বুধবার এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যান। এ সময় ৭/৮ জনের একটি দলকে আজাহার আলীর বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে আজাহার আলী তার স্ত্রী বিলকিস বেগম (৪৮) এর লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
বিলাসবহুল ওই বাড়ির স্টিলের আলমারী থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ খোয়া গেছে। নিহতের একমাত্র কন্যা আকতার জাহান বিথি জানান, মৃতার শরীরে ৭টি স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন এবং মুখে স্কচটেপ এঁটে দেয়া ছিল।
গত বছর স্বামী স্ত্রী একসাথে পবিত্র হজ্ব করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে – দুর্বৃৃত্তদের কাউকে চিনে ফেলার কারণে বিলকিস বেগমকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মর্গে প্রেরণ ও থানায় ইউডি মামলা করা হয়েছে। খবর লেখা পর্যন্ত লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার বা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষে পাঁচগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুব আলম শোক জানিয়ে অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়তে পারেন: পীরগঞ্জে বিজয় দিবসে নানা কর্মসূচি পালিত
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***