মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা এবং নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি বন্ধের জন্য নোটিশ জারি করা হয়। এই মামলাটির বিবাদী করা হয়েছে ১০ জনকে।
মামলার বিবরণে জানা যায় পীরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চতরা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে অত্র এলাকায় শিক্ষার প্রসার করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আজ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসিন হয়ে দেশ সেবা করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
মাহফুজার রহমান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করলে অবৈধ পন্থায় এ.কে.এম শহিদুজ্জামান এ পদে আসিন হন। তিনি প্রধান শিক্ষক হওয়ার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নানা ষড়যন্ত্র করে এই পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না করে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটিকে হাত করে গোপনে পদায়ন হন। প্রধান শিক্ষক হয়ে মামলার প্রথম বিবাদী রেজওয়ানুল হক নন্তুকে সভাপতি মনোনয়ন দেন এবং পরপর ৫ বার সভাপতি নিয়োগ করেন।
এ বিষয়ে এলাকায় ও শিক্ষক ও এলাকাবাসীর চাপাক্ষোভ রয়েছে। অতপর নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম শহিদুজ্জামান বিগত ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে অবসরে চলে যাওয়ার সময় মামলার ১০ নং বিবাদী খাদিজা বেগমকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়ে গত ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে সোনালী ব্যাংক চতরা হাট শাখায় হিসাব নম্বর ১৭৩ এর অনুকুলে ৫০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট পে অর্ডার আবেদনের জন্য জমা দিতে বলা হয়।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক মামলার বাদীগণ যথা নিয়মে আবেদন করেন। এতে প্রার্থী সংখ্যা ১১ জন। আবেদন সমূহ জমা হওয়ার পর বিদ্যালয়ের সভাপতি জানান যে প্রার্থী তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিবে তাকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করবেন। কিন্তু বিবাদীর কথামতো কোন প্রকার বাদীগণ টাকা না দিলে তিনি নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দেন।
পুনরায় ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দৈনিক আখিরা পত্রিকায় দ্বিতীয়বার পুণঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ৯ জন প্রার্থী আবেদনপত্র জমা দেন কিন্তু সভাপতি পুনরায় মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি নিয়োগ পরীক্ষার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। ফলে দ্বিতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
এরপর গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ হতে ৬ অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত ছুটি থাকার সময় ৭ অক্টোবর ২০১৭ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-কর্মচারীগণের পূর্বের হাজিরা খাতা ব্যবহার না করে নতুন হাজিরা খাতা খুলেন এবং তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে তিনি দাবী করেন আমি প্রধান শিক্ষক হয়েছি। এ বিষয়ে শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাজিরা খাতায় শিক্ষকের কলামে ফাঁকা রাখে এবং ১৬ অক্টোবর ২০১৭ সভাপতির স্বাক্ষরকৃত নিয়োগপত্রের ফটোকপি কথিত নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল শীট বিদ্যালয়ে দেখান।
ফলাফল শীটে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তিনি পূর্বের তারিখে ভুয়া নিয়োগপত্র ও নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল শীট তৈরি করেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আগস্টের ২০১৭ তারিখের শিক্ষক-কর্মচারী প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন। এতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর ছিল।
দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে প্রধান শিক্ষক হওয়াকে কেন্দ্র করে আবেদনকারী অভিভাবক সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, দাতা সদস্য, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চল, ব্যবস্থাপক সোনালী ব্যাংক, চতরা হাট শাখা বিবাদী করে রংপুর সাব জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছে।
প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক, শিক্ষক এবং এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ চতরা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম বেআইনি, যোগসাজশী, ভুয়া ও অকার্যকরী করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: দুধ খেয়ে অসুস্থ ১৭ জন এতিম ছাত্র
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***
বতর্মান অবস্থাই এমন ভাই!
বাদী কে ভাই,বুঝতে পারলাম না?
Todonto sapeke pornoray neyok bastobayon kore school poricalonay sustovabe sikka dane ami o akmot