বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ে এখন সবার আগ্রহ। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সহায়তা করতে চেয়ে কয়েক দিন আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার আগ্রহের কথা জানিয়ে গেছেন।
চায়নার কোম্পানি গেটওয়াল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অর্থ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের আর্থিক প্রস্তাব দিয়ে গিয়েছিলেন। পরে ফ্রান্সের কোম্পানি এমডিএ কর্পোরেশন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কাজটি পেতে বিশেষভাবে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
ফ্রান্সের এমডিএ কর্পোরেশন ছাড়াও তালিকায় আছে স্যাটেলাইট ব্যবসায় অত্যন্ত সফল মার্কিন কোম্পানি বোয়িং, কানাডিয়ান কোম্পানি টিউলাস ও অরবিট এবং চীনের গ্রেটওয়াল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন।
রোববার বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি আবের্ট। তিনি পরিষ্কারভাবে তাদের আগ্রহের কথা জানান।
সব মিলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট এক বিশেষ আগ্রহের জায়গায় চলে গেছে। চার দেশের পাঁচটি কোম্পানি এই কাজ পেতে দরপত্র কিনেছে। ১৮ জুন দরপত্রগুলো খেলা হবে। ২৪ মে ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ দিন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এই কাজের জন্য অনেক পুরনো এবং দক্ষ কোম্পানি। কিন্তু বাংলাদেশ উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে চলে গেছে, সুতরাং এভাবেই চলবে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, চীন খুব সস্তায় সব কাজ করে যে তাদের সঙ্গে অন্য কারো প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠা মুশকিল।
এর আগে চীনের গ্রেটওয়াল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পের জন্য পাস হওয়া মূল্যের চেয়ে পাঁচশ কোটি টাকা কমে কাজ করে দিতে চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। এরও আগে গত বছর ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকার প্রকল্পটি সরকার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে (একনেক) পাস হয়।
প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজস্ব স্যাটেলাইট মহাকাশে ওড়ানোর উৎসব করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্তমানে শুধু স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোর স্পেকট্রাম ভাড়া বাবদই বছরে দেড় কোটি ডলার বিদেশে চলে যায়।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***