ভাবনাটা যে বেশি ছিলো, তা প্রমাণ করতে তেমন সময়ই নেননি নেইমার। তার কাঁধেই যে এবার ব্রাজিলকে বিশ্বজয়ী করার দায়িত্ব। ছোট কাঁধে এতো বড় দায়িত্ব; নেইমার পারবেন তো?
নিন্দুকদের মনে নানা প্রশ্ন ছিলো। নেইমার প্রথম ম্যাচেই তা দূর করে দিয়েছিলেন দুই গোল করে। তারপরও ফিসফাস চলছিলো। নেইমার পারবেন তো? নেইমারের জোড়া গোল এবং ৮৪ মিনিটে গোল করে ফার্নান্দিনহো চুকিয়ে দিলেন জটিল হিসাব-নিকাশের ঝামেলা। শেষপর্যন্ত ৪-১ গোলের জয় দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে সেলেসাওরা।
এখন শেষ ষোলোর লড়াইয়ে চিলির মুখোমুখি হতে হবে নেইমার-ফ্রেড-অস্কারদের। একই সাথে উড়ে গেলো ক্যামেরুন। যাদের নিয়ে হঠাত করেই একটু বেশিই ভাবতে হচ্ছিলো ব্রাজিলকে। নেইমারের অব্যাহত জ্বলে উঠার দিনে ফ্রেডও বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি করে দিয়েছেন। গোল পেয়েছেন ফারনান্দিনহোও।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর ম্যাচটি তো এটিই। যেখানে ব্রাজিলিয়ান সাম্বা প্রথমবার উপস্থিত হলো ফুটবলীয় সৌন্দর্যের ঢালি নিয়ে। যে সৌন্দর্যের মোহনীয় ঝলকে ক্যামেরুন প্রায় মিলিয়েই গেলো।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***