নিজের অজান্তেই কখন যেন হিমু হয়ে গেছি। না, এখনো লোভটা’কে পুরোপুরি বিসর্জন দিতে পারিনি তবে সব ব্যাপারে উদাসীন থাকাটা ঠিকভাবেই রপ্ত করে ফেলেছি। বাস পুড়ছে, সিএনজি পুড়ছে, মানুষ পুড়ছে, গণতন্ত্র পুড়ছে, মানবতা পুড়ছে, বিবেক পুড়ছে!
আমি এখনো ফেসবুকে কবিতা লিখছি, দুধ চিনি পরিমাণ মতো দিয়ে চা পান করছি, পানশালায় যাচ্ছি, সস্তা প্রেমে রূপাকে খুঁজছি। এখন পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী পরে অপেক্ষা করছি আরেকটি অগ্নিকান্ডের জন্য, গণতন্ত্র পোড়া আগুনে একটা বিদেশী সিগারেট জ্বালিয়ে সুখটান দিতে চাই।
হিমুদের তো আবেগ থেকে দূরে থাকতে হয় তাই তাদের কোনো কষ্ট পেতে নেই। যদি কষ্ট এসে ধরা দেয় তবুও তারা একে আলিঙ্গন করে নেয়। খানিকটা মোহনীও কথা বলে কষ্টটা আরো বেড়ে দেয়, নিজের জন্য নয়। রুপাদের জন্য। তাই রুপারা হিমুকে বুঝতে চেয়ে হাপিয়ে উঠে তাকে দূরে ঠেলে দেয়।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***