পীরগঞ্জে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার বিকেলে ৩ সন্তানের ওই জননীকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ পরিবারের সদস্যরা বৈঠক করেছিল। উপজেলার মাগুড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের অটোভ্যান চালক রাশেদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী বড়আলমপুর ইউনিয়নের থিরারপাড়া গ্রামের তসলিম মিয়ার মেয়ে তাসলিমার সাথে ২০১৩ সালে বিয়ে হয়। তাসলিমার ২ মেয়ে ১ ছেলে হয়। রাশেদুল প্রায়ই পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী তাসলিমাকে মারধর করতো।
রাশেদুল গত মঙ্গল ও বুধবার দুইদিন পারিবারিক কারণে তাসলিমাকে রাতে মারধর করে। মারধরে অসুস্থ হয়ে একপর্যায়ে বুধবার রাত ৮ টার দিকে তাসলিমা স্বামীর বাড়ীতেই মারা যায়। তাসলিমার মৃত্যুর পরে থেকে রাশেদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
গতকাল বুধবার দিনভর লাশ রেখে ওই ইউপির চেয়ারম্যান শামছুল আলম ৮০ হাজার টাকায় লাশের দফারফা করেন। বিষয়টি পুলিশ জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে লাশ থানায় আনে। এ ঘটনায় তাসলিমার বাবা হত্যা মামলা করেছেন।
তাসলিমার মেয়ে ২য় শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন খাতুন জানায়, ‘রাতে আব্বা মাকে খুব মারছে, ঘুষি দিছে। মা খুব জোরে জোরে কান্না করছে। ম্যালা মানুষ আছিলো, কিন্তু কেউ আসে নাই।’
লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী এসআই দেবাশীষ রায় জানান, প্রাথমিকভাবে তাসলিমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যান শাছুল আলম বলেন, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তবে আপোষের চেষ্টা করিনি। পারিবারিকভাবে ওরাই বসেছিল।
পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, হত্যা সংক্রান্ত ঘটনা কখনোই মীমাংসাযোগ্য নয়। মীমাংসার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। লাশ মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়তে পারেন: মাদ্রাসার চার বছরের শিশুর বাবা অভিভাবক সদস্য
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***