বিনিয়োগ পরিবেশ ভাল না থাকায় ব্যাংকিং খাতের আয় কমে গেছে। কিন্তু ব্যয় কমছে না। এতে ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। খরচ কমাতে নেওয়া হচ্ছে নানামুখী উদ্যোগও। কিন্তু বার্ষিক আর্থিক বিবরণী ছাপতে গিয়ে ব্যাংকগুলোকে ৫ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ জলে দিতে হচ্ছে। বিষয়টি শীর্ষ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যাংক মালিকদের ভাবিয়ে তুলেছে। আর্থিক বিবরণী পত্রিকায় ছাপার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা থেকে পরিত্রাণ চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভাল না থাকায় ব্যাংকের আয় কমে যাচ্ছে। বাড়ছে ব্যয়। ব্যক্তি জীবনের মতো আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করতে যেন হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে পরিচালন ব্যয় কমাচ্ছে। ব্যয়ের নানান খাত সংকুচিত করে ফেলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, যে কোনও প্রতিষ্ঠানের স্টেক হোল্ডার ও শেয়ার হোল্ডারদের সেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়ে জানার অধিকার আছে। এই জন্য ব্যাংকগুলোকে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় তাদের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে ব্যাংকগুলো যদি ব্যয় কমানোর জন্য কোন উদ্যোগ নিতে চায় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তার সঙ্গে এক মত পোষণ করেন ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবির) সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অপচয় বন্ধ করা গেলে ব্যাংকের জন্য ভাল হবে। এই টাকা যদি গরীব ও দুস্থ মানুষদের পেছনে ব্যয় করা হয়, তাহলে সমাজের উপকার হবে।
এদিকে বিনিয়োগ চাহিদা না থাকায় ব্যাংকের তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় বেড়ে গেছে। এ তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমাতে ইতোমধ্যে আমানতের সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে ব্যাংকগুলো। কিন্তু এরপরেও সংকট কাটছে না।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***