বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে সোনার দাম প্রতি ভরিতে ১৪০০ টাকা বাড়িয়েছে। ফলে ২২ ক্যারেট সোনার ভরি প্রতি দাম হবে ৫০,৭৩৮ টাকা। গত মঙ্গলবার জুয়েলার্স সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। নতুন এই সোনার দর আজ বুধবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সোনার ভরি ১৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। সর্বশেষ ২৫ ডিসেম্বর সোনার দাম বাড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। শীতের শুরুতে ২৬ নভেম্বর মাসেও সোনার দর বাড়ানো হয়েছিল। ২০১২ সালে ২২ ক্যারেট সোনার দাম বাড়তে বাড়তে ৬০,০০০ হয়েছিলো। এরপরেও ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে দাম ৫০,০০০ টাকার নিচে নেমে আসে।
জুয়েলার্স সমিতি জানান, এখন থেকে ১ ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনা ৫০,৭৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৮,৪০৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনা ৪৩,১৫৭ টাকায় বিক্রি হবে। সনাতন ভাবে সোনার ১ভরি ২৬,৫৩৬ টাকা। কিন্তু রুপার দর বাড়েনি। প্রতি ১ ভরি রুপার দাম ১০৫০ টাকা। গতকাল পর্যন্ত ১ ভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৪৯,৩৩৯ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৭,১২৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ৪১,৮৭৪ টাকা ছিল। এ ছাড়া সনাতন ভাবে সোনার ভরি ২৫,৬৬১ টাকা।
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১.৬ %, ২১ ক্যারেটে ৮৭.৫ %, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ % বিশুদ্ধ সোনা থাকে। অলংকার তৈরি করতে সোনার দামের সাথে মজুরি ও মূসক যোগ করা হবে।
জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন- স্বর্ণের চাহিদা বাড়ছে ফলে স্থানীয় বাজারে দর বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন- এখন দেশে বিয়ের মৌসুম চলছে। ফলে স্বর্ণের চাহিদা বেশি হয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় যোগান কম। তাছাড়া বৈদেশিক বাজারেও দাম অনেক বেশি। সবদিক বিবেচনা করে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাজুসের সংবাদ সন্মেলনে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ এবং স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটে স্বর্ণ নীতিমালা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বছর শেষ তারপরেও এইরকম কোন নীতিমালা গ্রহণ করা হয়নি। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা দ্রুত এই নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জনিয়ে বলেন-নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে চোরাচালান বন্ধ হবে, দামও কম পড়বে।
আরও পড়তে পারেন : ইলিশ রপ্তানি করতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে সরকার
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***