সরকারি ৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি, ১৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে জরুরি সভা করা হয়। গভর্নর ফজলে কবির এই জরুরি সভাতে সভাপতিত্ব করেন। উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিনিধিরাও।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং উক্ত ঘটনা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ২ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
জি এম আবুল কালাম আজাদ (বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র) জানান- প্রতিবেদন পাওয়ার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিনিধিদের কাছে সবকিছুর ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে। এরপরে কোন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে নিয়োগে নানারকম অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের কারণে সরকার ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি গঠন করে ২০১৫ সালে। সরকারি সব ব্যাংকের প্রধান করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ও এতে সদস্য করা হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিদের। কিন্তু তারপরেও নিয়োগ পরীক্ষার অব্যবস্থাপনা ও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের জন্য কিছুদিন আগেই ২ দুটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিলো।
গত ১২ জানুয়ারি শুক্রবার ব্যাংক সিলেকশন কমিটির অধীনে ৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় অব্যবস্থাপনাসহ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস অভিযোগ ওঠে। অনেকেই প্রশ্নপত্র পায়নি, বসার জায়গা পায়নি, চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় ভাঙচুর করে সড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে চাকরি প্রার্থীরা গতকাল রোববার পরীক্ষা বাতিল করতে বলে বিক্ষোভ করে। তাঁরা ৯ দফা দাবি করে। তাদের এই ৯ দফা দাবি যদি মানা না হয় তবে তারা আদালতে যাবার ঘোষণা দেয়।
গত ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সারা দেশে ৬১টি কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ অনুসারে রূপালী, সোনালী ও জনতা ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষাসহ পরবর্তী সকল ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি সেই আদেশ স্থগিত করেন, ফলে ওই ৩ ব্যাংকসহ আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, নানারকম অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়তে পারেন: ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে ২০১৭ সাল : সিপিডি
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***
