“সংস্কৃতি এবং প্রকৃতি হাতে হাত ধরে চলে। যুদ্ধ হয়তো বন্ধ হবে, কিন্তু এই প্রজাতিকে বিলুপ্তি থেকে কেউ ফিরিয়ে আনতে পারবে না” বলেন প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতির প্রধান, আসাদ সেরহাল।
সিরিয়ার পালমিরা ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের কব্জায় চলে যাবার ফলে একটি বিরল প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
২০০২ সালে শহরটির কাছে নর্দার্ন বল্ড আইবিস পাখির একটি ছোট প্রজনন কলোনি পাওয়া যায়।
গতসপ্তাহে লড়াই শুরু হবার পর সংরক্ষণে রাখা তিনটি পাখিকে রেখে দ্বাররক্ষীরা পালিয়ে গেলে। এরপর পাখিগুলোর কি হয়েছে তা আর জানা যায়নি।
নিরুদ্দেশ অপর একটি পাখির সংবাদ প্রদানের জন্য ১০০০ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন কর্মকর্তারা।
লেবাননে প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতি বিবিসিকে বলেছে, জেনোবিয়া নামের একটি স্ত্রী-পাখির খোঁজ পাওয়া এখন খুবই জরুরী।
এই প্রজাতির পাখিরা শীতকালে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং ইথিওপিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।
জোনেবিয়াই এই প্রজাতির একমাত্র পাখি যে ইথিওপিয়া যাবার সেই রাস্তাটি চেনে এবং তাকে ছাড়া অন্যান্য বন্দী পাখিগুলোকে ছাড়া সম্ভব হবে না।
পাখি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাখিগুলোকে ছাড়া সম্ভব না হলে সিরিয়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বৈরুত থেকে বিবিসির জিম মুইর বলছেন, ধারণা করা হচ্ছিল ঐ পাখিটি এ অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১৩ বছর আগে পালমিরার কাছে এই প্রজাতির সাতটি পাখির একটি বসতি খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে সংরক্ষণ করার পরও বর্তমানে তাদের মধ্যে মাত্র চারটি বন্য পাখিই অবশিষ্ট ছিল।
পালমিরার পাশে ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আইএস জঙ্গিরা ইরাকের বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপনা ধ্বংস করেছে – খুব সম্প্রতি প্রাচীন শহর নিমরুদ, যেটি ছিল ইরাকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের একটি।
বিবিসি অবলম্বনে
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***