ফ্রিল্যান্সিং ! সেটা শেখার কিছু নাই রে পাগলা বরং কোন একটা কাজে স্কিলড হলেই সেটার জন্য তৈরি হওয়া যায় !
আপনি যতই ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই কেনেন বা রাতদিন পড়েন কোন লাভ নেই! পারলে ফ্রিল্যান্স কাজে যে ক্যাটাগরির কাজ থাকে সেগুলো একটার বই কিনে পড়ে প্র্যাকটিস করুন!
সারা পৃথিবীতে দিন দিন সবকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে সাথে মানুষের কাজ কমে যাচ্ছে ?? না, উল্টো বাড়ছে !
কিন্তু কাদের জন্য এই কাজ তৈরি হচ্ছে?
সেটার উত্তর হল স্কিলড পার্সনদের জন্য !
স্কিলড পার্সন কারা ?
যারা কোন একটি বিষয়ে দক্ষ !
স্কিলড কি রাতারাতি হওয়া যায় ?
না, সেটার জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় এবং বেসিক থেকে শেখার পাশাপাশি কাজ করে এগুতে হয়! শুধু হাজার হাজার সফলতার বই পড়ে বা রাতারাতি ট্রেনিং বা প্রফেশনাল হবার শর্টকার্ট টিপস পড়ে নয়!
তবে, হা ! সফলতার গল্প পড়ে অনুপ্রানিত হবার অনেক কিছু আছে ! কিন্তু সেই বই পড়ার সাথে সাথেই আমিও সফল সেটা ভাবা বোকামী! কারণ এর পথটা গভীর !
কোন ফ্রিল্যান্সার এর সাথে দেখা হলে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব সেটা না প্রশ্ন করে তাকে প্রশ্ন করুন, সে কি কাজ করে ? সে কিভাবে স্টেপ বাই স্টেপ এগুলো শিখে আজ এই জায়গায় আসছে !
কারণ কাজ জানাটাই আসল ! বাস্তব জীবনের সাথে দেখুন আপনি যে ক্লাসে পড়ছেন সেটাতে কি লাফ দিয়ে চলে আসছেন নাকি এক এক ক্লাস পাশ করে আসছেন ! সুতরাং প্রতিটি কাজ শেখার বেলায়ও বেসিক শিখে শিখে এগুতে হবে তাকে সময় দিতে হবে!
আপনি বিএসসি লেভেল পড়ার পর জবে যাবেন তার জন্য আপনাকে ১৬ বছর পড়তে হয়েছে তারপরও অনেকেই জব পান না ! তাহলে কিভাবে আপনাকে অন্যপ্রান্ত থেকে একজন শুধু আপনার কাভার লেটার দেখে জব দেবে ? তারা কি আমাদের চেয়েও গাধা ?
আপনাকে ৩০টাকার রাস্তা চালিয়ে নিয়ে এসে রিকশাওয়ালা ৫ টাকা বেশী নিতে চাইলে আপনি ৫টাকা বেশী দিতে ঝগড়া করেন আর আপনি কাজ না পেরে কোন যোগ্যতায় মনে করেন আরেক লোক আপনাকে ডলারের কাজ এমনিতে দিয়ে দিবে !
প্রথমে নিজের দিকে ভাবতে হবে যে আরেকটা লোক যে আমাকে কাজ দিবে সেটা আমি আসলেই পারি কিনা ? ঠিকমত করে দিতে পারব কিনা ?
তারও তো নিশ্চয় টাকার গাছ নেই, সে লোকটাও কোন না কোনভাবে কাজ করে সেটা আয় করেছে! সুতরাং প্রথমে ভাবতে হবে নিজেকে , নিজে যোগ্য কিনা ! নাহলে শিখে নিতে হবে! প্রয়োজনে একটু সময় দিতে হবেই ! বেশীদুর আগাতে গেলে গোড়াটা একটু শক্ত লাগবেই !
অনলাইনে এত রিসোর্স আছে যে আপনি এমনিতেই জানতে পারবেন যে ফ্রিল্যান্সিং কি? সেটা শেখার কিছু নেই ! এটা কোন বিষয়ে কাজ করার দক্ষতার মাধ্যমে পারা যায়! যা একটু সময় ও পরিশ্রম ও ধৈর্য্য দিয়ে অর্জন করে নিতে হয় রাতারাতি বা প্যাকেজ বা টেবলেট হিসেবে খেয়ে নিলেই বা শেখার বই মুখস্ত করে নিলেই হয় না !
তা হলে সব মুখস্তবীদরাই আজ সবচেয়ে ধনী হতেন বা বিজ্ঞানীরা কোন একটা ট্যাবলেট গিললেই দক্ষ হওয়া যায় এমন ট্যাবলেট বানাতেন!
তাই, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান তাহলে কোন একটা কাজ শেখা শুরু করুন এবং নিজেকে প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে দক্ষ করে তুলুন! যেভাবে আপনি ইমেইল বা ফেসবুক একাউন্ট খুলছেন সেটার মতই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে পারবেন!
আর যদি সত্যিকারের কাজ করে দক্ষ হয়ে উঠেন তাহলে প্রোফাইল ১০০% করার জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয় সেটা বিভিন্ন সাইট থেকে চুরি করে বা বই পড়ে ১০০% করতে হয় না সেটা প্রশ্ন এমনিতেই পারবেন!
আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে! রাস্তা দিয়ে একজন সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন দেখেই আপনি ১০০টাকার সাইকেল চালানোর টিপস বই পড়লেই যে পারবেন সেটা ভাবা যে কত বড় বোকামি আপনি প্রাইমারী – হাইস্কুলের বই ভাল করে পড়ে আসলেই জানার কথা!
সাইকেল চালাতে গেলে সেটা নিয়ে মাঠে নামতে হবে তারপর শিখে রাস্তায় নামতে হবে! অন্যের চালানো দেখে সাইকেল নিয়ে শুধু নেমে গেলেই সাইকেল চলবে না !
সুতরাং আগে নিজেকে কন্ট্রোল করুন তারপর সময় দিয়ে শিখুন ! মার্কেটপ্লেসের কাজ চলে যাচ্ছে না বা শেষ হচ্ছে না ! শুধু আমেরিকার বাজারেই আছে মিলিয়ন ডলারের কাজ আর বাকী দেশগুলোত পড়েই রয়েছে! সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং শেখার কৌশল বাদ দিয়ে কাজ শেখার জন্য চেষ্টা করুন না হলে দেথবেন আপনার পাশের যে বন্ধুটি এখন সময় দিয়ে কাজ করা শিখছে সে হয়তবা রাতারাতি সফল হতে পারবে না কিন্তু ১-২ বছর পর ঠিকই আপনি তার সাফল্যের গল্প পড়বেন !
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***