২৯ জুলাই (সোমবার) বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাটের শ্যামবাজারে উল্টিগঞ্জ পয়েন্টে সকালে লঞ্চডুবির ঘটনায় ১৩ ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে জীবিত একজনকে উদ্ধারের দাবি করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তির নাম সুমন ব্যাপারী (৩২)। তিনি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার আব্দুল্লাপুর গ্রামের ফয়জুল ব্যাপারীর ছেলে সুমন ব্যাপারী। তিনি সদরঘাটে ফেরি করে ফল বিক্রি করেন।
সোমবার সকালে সবার সঙ্গে তিনিও মুন্সিগঞ্জের কাটপট্টি ঘাট থেকে লঞ্চে সদরঘাট তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।
তাকে রাত ১০টায় উদ্ধারের পর পরই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হলে তাকে কিছুক্ষণ অক্সিজেন দেয়ার পর আশঙ্কা কেটে যায়। এরপর তাকে সহযোগী অধ্যাপক দূর্বা হালদারের আন্ডারে মেডিসিন ওয়ার্ডের ৫-ইউনিট এর ২৩ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।
তারা জানান, সুমন ব্যাপারী এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন। পানিতে দীর্ঘক্ষণ থাকার সিম্পটম ছিল। আমরা তাকে নিয়মানুযায়ী অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি লিফট পদ্ধতিতে উদ্ধার অভিযানের সময় উনাকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা দেখতে পায় এবং জীবিত থাকার ফলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করে।
তিনি বলেন, তিনি সম্ভবত লঞ্চের ইঞ্জিন রুমের কোনো এক জায়গায় ছিলেন, যেখানে অক্সিজেন ছিল। ওই অক্সিজেনে তিনি দীর্ঘক্ষণ বেছে ছিলেন হয়তো।
এছাড়া, লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩২ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ২১জন পুরুষ, ৮ জন নারী, ৩ জন শিশু।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***