আজ (২০ জুলাই) বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন এই গুণী শিল্পী। করোনার কারণে এবার সীমিত আকারে হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান নেত্রকোনায় এবং তাঁর সবচেয়ে প্রিয় স্থান গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ফয়েজুর রহমান। মা আয়েশা ফয়েজ। উচ্চ মাধ্যমিকের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তাঁর লেখালেখি শুরু হয়। ১৯৭২ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে প্রকাশিত হয়। ১৯৭৪ সালে তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস শঙ্খনীল কারাগার প্রকাশিত হয়। বই দুটি প্রকাশের পর শক্তিশালী লেখক হিসেবে পাঠকমহলে পরিচিত হন।
আরও পড়তে পারেন: সাকিব আল হাসানের বাবা করোনায় আক্রান্ত
হুমায়ূন আহমেদ একদিকে যেমন পাঠককে সাহিত্য দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন, অন্যদিকে নির্মাণও করেছেন অনন্য সব নাটক, চলচ্চিত্র ও গান। একের পর এক দর্শকনন্দিত নাটক রচনা ও পরিচালনা করেছেন তিনি। তিনি ১৯৯০-এর গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘আগুনের পরশমণি’। এটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। এরপর ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ চলচ্চিত্র দর্শকদের দারুণ গ্রহণ যোগ্যতা লাভ করে। তাঁর সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিলো ‘ঘেটু পুত্র কমলা’।
স্বীকৃতি স্বরূপ হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি শিক্ষকতাও করেছেন। প্রথমে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। এরপরে শিক্ষকতাকে অবসর দিয়ে লেখালেখিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***