বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ সদর থানার চরপাথালিয়া গ্রামে চাচাতো বোনের সাথে সম্পর্কের জেরে প্রেমিকার ভাইয়েরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এক তরুণকে।
বিভৎস, লোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে ঈদের দিন সন্ধ্যায়। ছেলেটির শরীর থেকে দুটো হাত কেটে নেওয়া ও দুটো চোখই উপড়ে ফেলার পর তার মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয় ঐ ছেলের বাবার দুটো পাও কেটে দিয়েছে মেয়েটির পরিবার।
ছেলেটিকে চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় আনার পথে মাওয়া ফেরিঘাটে তার মৃত্যু হয়। ছেলেটির বাবা বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি পরিবারের বড় ভাই লায়েক মোল্লার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ছোট ভাইয়ের ছেলে শাহীন মোল্লার। কিন্তু বড় ভাইয়ের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। এই সম্পর্ককে কেন্দ্র ঘরে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে। গতকাল বড় ভাইয়ের ছেলেরা শাহীন মোল্লাকে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে নিয়ে দা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দুই হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে তার দুই চোখও তুলে ফেলে তারা।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, জমিজমা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল সাথে প্রেমের সম্পর্ক বিরোধটাকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা বা হত্যাকান্ডে জড়িত কাউকে আটক করা হয়নি। সন্দেহভাজন হামলাকারীরা সবাই পলাতক রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা জানান, “প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে ঘটনাটি পূর্ব-পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। কারণ হামলার আগে ছেলেটির পরিবারের সবাইকে বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো।”
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***