রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনি থেকে মিজানুর রহমান (১৯) নামে নটরডেম কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ। ফেসবুকে প্রেম বিষয়ে তার দেওয়া একটি স্ট্যাটাস দেখে পুলিশের ধারণা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন তিনি।
মিজানুর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ব্রজবালা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। মিজানুরের বাবা কৃষক। মিজানের দুইবোন। দুইবোনের বিয়ে হয়ে গেছে। এজিবি কলোনির এফ/৪৮/৪ বিল্ডিংয়ে সহপাঠী হিমেলকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। ঈদের ছুটি শেষে ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ১২টায় একাই বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন মিজান। গত শনিবার সকালে ফ্ল্যাটের মালিক সাইফুল ইসলাম জানালা দিয়ে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। বিছানার চাদর গলায় বেঁধে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মিজানুর তার ফেইসবুক আইডির সর্বশেষ স্ট্যাটাসে লেখেন,
‘বন্ধুরা তোমাদের সকলের জন্য আমার এই স্ট্যাটাস। জানি আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রেম করে। কিন্তু সবাই জানে না এর শেষ পরিণতি কী? আমি জানি, শুনবে তোমরা? শোনো আর না শোনো, আমি বলবো। তোমার সঙ্গে সেই মেয়েটির প্রেম চলছে। হঠাৎ যদি মেয়েটির ভালো একটি বিয়ে আসে, তখন সে তোমায় ভুলে যাবে। তুমি যদি তখন কিছু করতে চাও তখন সে সবাইকে হাসি মুখে বলবে, আমি এই ছেলেকে চিনি না। এটা ২০০% সিওর। তোমরা কেউ ব্যপারটা জানো কি জানো না, আমি আজ ব্যাপারটা জানলাম।’
মিজানুরের ফেইসবুক আইডির সর্বশেষ স্ট্যাটাস
মিজানের বন্ধু মাহমুদুন্নবী জানান, ‘দেড় বছর ধরে মিজানুরের সঙ্গে উল্লাপাড়ার বিজ্ঞান কলেজের এক মেয়ের প্রেম চলছিল। তারা একই ক্লাসে পড়ত। মেয়েটি উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবার এইচএসসি দিয়েছে। মিজান ঢাকার নটরডেম কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এবার এইচএসসি দিয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য ঢাকার ফার্মগেইটে কোচিং করছিলো। গত শুক্রবার মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। এরপর তার আত্মহত্যার খবর পাই।’
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***