প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১০ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ গোপনের অভিযোগ উঠেছে সওজ প্রকৌশলী একিউএম ইকরাম উল্লাহ ও তার স্ত্রী আতিকা খাতুনের বিরুদ্ধে। এরই পরিপেক্ষিতে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি কমিশন (দুদক)।
গত ১৩ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সম্পদের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), একিউএম ইকরাম উল্লাহ তার সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ২০৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে তারা জানতে পারে, ইকরাম উল্লাহ’র আয়ের উৎসের সঙ্গে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ১০১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা গোপন করার জন্য তিনি ব্যাংক থেকে টাকাগুলা উত্তোলন করে স্থানান্তরও করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তিনি কোনো দলিল দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও তার স্ত্রী আসামি আতিকা খাতুন দুদককে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ৯২৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তবে দুদকের অনুসন্ধানে আতিকার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ১১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক।
দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***