রাজধানী ঢাকার রামপুরায় টিনের বাড়ি বসে নিহত ১১ জন। গত বুধবার একটি দোতলা টিনশেডের তৈরি বাড়ি জলের নিচে বসে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। দমকল বাহিনীর উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।
দমকল বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, তারা সারারাত ধরেই সেখানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবেন। ভেঙে পড়া বাড়িটি জলের নিচ থেকে তুলতে ঘটনাস্থলে ক্রেনও নিয়ে আসা হয়েছে।
রামপুরা ঝিলের ওপর বানানো অস্থায়ী ওই ঘরটি বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আচমকা ভেঙে পড়ে জলের মধ্যে বসে যায়। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
রামপুরা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, তারাও পুলিশবাহিনীকে সেখানে পাঠিয়েছেন – তারা হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পাঠাতে সাহায্য করেছেন।
রামপুরা ঝিলের ওপর বাঁশের খুঁটি আর টিনশেড দিয়ে তৈরি ওই বাড়িটিতে ভাড়াটে হিসেবে বেশ কয়েকটি গরিব ও নিম্নবিত্ত পরিবার গাদাগাদি করে থাকত।
দমকলের কর্মীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝিলের নিচে তলিয়ে যাওয়া কক্ষের টিনশেড কেটে উপরে তুলে আনেন। এরপর লাশগুলো ভেসে উঠতে থাকে।
বাড়িটি যখন জলের মধ্যে বসে যায় তখন দুপুরবেলা অনেকেই কাজে বেরিয়েছিলেন – নইলে হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়ত বলে স্থানীয় মানুষরা জানিয়েছেন।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***