বিএনপির সদ্যপ্রয়াত নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ারের বাসায় গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এম কে আনোয়ারের এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় যান খালেদা জিয়া। তিনি প্রয়াত এম কে আনোয়ারের স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বাসায় অবস্থান করেন বেগম জিয়া।
খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এম কে আনোয়ারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
এ সময় বাসার বাইরে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং বলেন তাঁর (এম কে আনোয়ার) মৃত্যুতে দেশ এবং দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তিনি আন্দোলনে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। তাঁকে হারিয়ে বিএনপি একজন গুণী রাজনীতিবিদকে হারিয়েছে।’
আরও পড়তে পারেন: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র
চাকরিজীবন থেকে অবসর নিয়ে বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এম কে আনোয়ার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর বিভিন্ন সময়ে নিজ এলাকা কুমিল্লার হোমনা থেকে পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বিএনপির শামসনামলে দুবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দুই বছর ধরে তিনি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বর্তমান সরকারের আমলেও বিভিন্ন সময়ে জেল খেটেছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এম কে আনোয়ার। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজ (বুধবার) কুমিল্লায় এম কে আনোয়ারের দাফন হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতলের হিমাগারে রাখা হয়েছে। জানা যায়, এম কে আনোয়ারের ছোট ছেলে ও মেয়ে দেশে বাইরে আছেন। তারা আজই লন্ডন থেকে ফিরবেন।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***