কুমিল্লার হোমনায় সুদের টাকা শোধ করতে অপহরণের পর বন্ধুকে খুন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলো তিন কিশোর। নিহত ছাত্রের নাম জাহিদ হাসান (১৪)। সে স্থানীয় দুলালপুর গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামানের ছেলে। হোমনা উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমণি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
জাহিদ হাসান নিখোঁজ হয়েছিল গত ৪ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায়। মঙ্গলবার জাহিদের বাবা এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মঙ্গলবারই একটি নম্বর থেকে কল করে এবং খুদে বার্তায় জাহিদের চাচা মাসুদ রানার মুঠোফোনে জাহিদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
মুঠোফোনের সূত্র ধরে বুধবার দুপুরে ওই এলাকা থেকেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুজন দুলালপুর চন্দ্রমণি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র এমদাদ হোসেন (১৭) ও খাইরুল ইসলাম (১৭)। অপরজন স্থানীয় মাদ্রসার দাখিলের ছাত্র জিহাদ হোসেন (১৯)।
আরও পড়তে পারেন: ঠাকুরগাঁওয়ে দুই নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে ওই তিন কিশোর জানায়, গত ৪ নভেম্বর মায়ের ওষুধ কিনে সন্ধ্যায় যখন জাহিদ বাড়ি ফিরছিল তখন ওই তিন কিশোর জরুরি কথা আছে বলে কৌশলে তাকে বাজারের একটি ভবনে নিয়ে যায়। পূর্বপরিচিত হওয়ায় জাহিদ তাদের কথায় সাড়া দিয়েছিল। দুলালপুর সিএজি স্ট্যান্ডের পাশে পাশে জনৈক শাহজালাল মিয়ার মালিকানাধীন ভবনে নিয়ে তিনজনে তার মুখ চেপে ধরে ও গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে হত্যার পর মরদেহ পার্শ্ববর্তী স্কুলের সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়।
হোমনা পুলিশ জানান, বন্ধুকে খুন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা ৩ কিশোরই ছাত্র। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্কুলের সেপটিক ট্যাংক থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***