আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে এক ছাত্রী অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহৃত ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি।
শোভা নামের ওই ছাত্রীর এক সহপাঠীর জানায়, আজ সকাল নয়টায় তাঁদের বিভাগে পরীক্ষা ছিল। সকাল সোয়া আটটার দিকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হল থেকে বের হন ওই ছাত্রী। হল গেটে তাঁর সাথে কথা বলতে আসে তাঁর ‘সাবেক স্বামী’ সোহেল রানা। রানাসহ আরও কয়েকজন যুবক তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। এ সময় তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একপর্যায়ে জোর করে ওই ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায় তারা। কয়েকজন ছাত্রীর দাবি মাইক্রোবাসটি সকাল থেকে হলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল।
নাম না জানার শর্তে এক শিক্ষার্থী পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরকে জানায়, ‘মাইক্রোবাসটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে অবশ্যই পুলিশ চেক পোস্ট দিয়েই যেতে হয়েছে। তাহলে হলের সামনে থেকে যখন শিক্ষার্থীটিকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো পুলিশ কেন তাতে বাধা দিলো না?’
গত বছরের ডিসেম্বরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সোহেল রানার বিয়ে হয়। এ বছরের ১০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ডিসেম্বরের ১০ তারিখ তালাক কার্যকর হবে। তালাক যেন কার্যকর না হয় এ জন্য সোহেল তাঁকে ফোনে প্রায়ই বিরক্ত করতো।
ওই ছাত্রীর বাবা জানায়, পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়ের পরে থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে সোহেল। তাছাড়া সোহেল নেশা করতো, এমনকি মরধর করতো।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা জেনেছি তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। তাঁর স্বামীই নাকি তাঁকে নিয়ে গেছেন। প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছে তাদের খোঁজাখুঁজি করতে।’
আরও পড়তে পারেন: পীরগঞ্জে জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৪ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে!
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***