সর্বহারা মহান নেতা ও শিক্ষক মহামতি কার্ল মার্কসের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী স্মরণে বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ৫ মে বিকেল ৪.৩০ টার প্রেসক্লাব চত্বর থেকে র্যালি শেষে নগরীর নিউক্রস রোডস্থ সুমি কমিউনিটি কেয়ারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু’র সভাপতিত্বে এবং জেলা কমিটি’র সদস্য পলাশ কান্তি নাগের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক চিনু কবীর, লেখক ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান নাসিম, বিজ্ঞান চেতনা পরিষদ রংপুর শাখার আহবায়ক রায়হান কবীর, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা সংগঠক আহসানুল আরেফিন তিতু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান খানম শিখা।
বক্তারা বলেন, ১৮১৮ সালের ৫ই মে প্রুশিয়ার রাইন অঞ্চলের ত্রিয়ের শহরে কার্ল মার্কসের জন্ম হয়। তিনি শ্রেণীহীন, বৈষম্যহীন মানব সমাজ গড়ে তোলার কাজে নিজের সারা জীবন ব্যয় করছেন। তাঁর প্রজ্ঞা ও অনুশীলন থেকে আমরা পেয়েছি দর্শনের এক নতুন ধারা দ্বান্দিক বস্তুবাদ। যা বস্তুজগতের পরিবর্তনশীলতার নিয়মাবলীকে ব্যাখ্যা করে।
বন্ধু ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস ছিলেন তাঁর সব কাজের অংশীদার। তাঁরা আবিষ্কার করেন ‘উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব’-যা শ্রম শোষণের নিয়মকে উম্মোচন করে, ইতোপূর্বের অর্থনীতিবিদরা যা বুঝতে পারেননি। এসব আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, জগতে যা কিছু ঘটেছে তা মানুষেরই সৃষ্ট। মানুষই পারে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে। কার্ল মার্কসের সেই বিখ্যাত উক্তি আমরা জানি-‘এতোদিন দার্শনিকরা কেবল বিশ্বকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাই করে গেছেন, কিন্তু আসল কাজ হল তা পরিবর্তন করা।
মানব সমাজকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে মার্কস ও এঙ্গেলস পূর্ববর্তী সমাজের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করেন দ্বান্দিক বস্তুবাদের মাধ্যমে। যা দেখিয়ে দেয় মানব সমাজের ইতিহাস আদতে শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস।
বক্তারা আরও বলেন, মার্কসবাদকে সকল প্রকার বিকৃতি ও বিচ্যুতির হাত থেকে রক্ষা করা প্রতিটি কমিউনিস্ট বিপ্লবীর দায়িত্ব। বক্তারা, মহামতি কার্ল মার্কসের সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***