গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ইনস্টিটিউটের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে এক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে (বিআইবিএম) মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন যে নানা অনিয়ম সমস্যায় জর্জরিত বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংক বন্ধ করতে হবে। আর্থিক খাতের নানা অনিয়ম গুলো রোধ করতে একটি ব্যাংক বন্ধ করলে হলে তা সেটা একটি উদাহরণ হবে।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক আরো বলেন যে, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করা ছাড়া উপায় নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করা ছাড়া আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
তৌফিক আহমদ চৌধুরী মত দেন, ফারমার্স ব্যাংক এর যা হয়েছে, তাতে এই ব্যাংকে অবশ্যই বন্ধ করে দেওয়া উচিত তবে ব্যাংকের লাইসেন্স পেলে তা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব থাকে সরকারের, কিন্তু সেটা রক্ষা করা হয়নি।তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ফারমার্স ব্যাংককে শেষ হয়ে যেতে দেওয়া হবে না। সরকার এটিকে বাচিয়ে রাখবে।
নানা অনিয়মের চাপের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ফারমার্স ব্যাংক এর চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন । বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকটি কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিকেই ঋণ দিয়ে অনিয়ম করে । এর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাও অস্থিতিশীল ছিলো। অনিয়ম করে অন্য ব্যাংকের ও নিজ ব্যাংক ও পরিচালকদের ঋণ দেয় এ ব্যাংক। জনবল নিয়োগেও নানারকম অনিয়ম করেছে যার ফলে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে ব্যাংকটি।
এই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ফারমার্স ব্যাংক এর আন্তঃব্যাংক আমানত ছিলো ৫৩৫ কোটি টাকা এবং গ্রাহক আমানত ৫ হাজার ১২৫ কোটি টাকা অপরদিকে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ১৪৫ কোটি টাকা। প্রায় ৩০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত নগদ অর্থের পরিমাণ । ১ হাজার ৯ কোটি টাকা ক্রয়কৃত সরকারি সিকিউরিটিজের পরিমাণ সুন্তরাং প্রতিবেদনে বলা হয় ‘ব্যাংকটির দায় পরিশোধের সক্ষমতা নেই’।
আরও পড়তে পারেন: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবেই
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***