২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, অফিসার (ক্যাশ) এবং অফিসার (সাধারণ) পদে এই নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা। উক্ত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে এই নিয়োগ পরীক্ষার সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে অন্য ৫ ব্যাংকের পরীক্ষা ১২ জানুয়ারি হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ রোববার রুলসহ এই আদেশ দেওয়া হয়। রুলে ২০১৭ সালের জারি করা সার্কুলারে সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকে নিয়োগের জন্য দেওয়া বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানির মাধ্যমে বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এই হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে এবং রিট আবেদন করে শুনানির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ফলে ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৮ ব্যাংকের মধ্যে সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব মোশাররফ হোসেন খান বলেন, আদালতের নির্দেশে ১২ জানুয়ারি সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। তবে অন্য সকল ব্যাংকের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে না। স্থগিত হওয়া সেই ৩টি ব্যাংকের পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে বলে জানান হয়। অন্য ৫টি ব্যাংকের পরীক্ষা উল্লেখিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
রাশেদুল হক খোকন জানান, ২০১৬ সাল বিভিন্ন ব্যাংকগুলো আলাদাভাবে সার্কুলার দিয়ে পরীক্ষা নেয়নি কিন্তু ২০১৭ সালে সমন্বিত সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ২০১৬ সালের আবেদন করা ২৮ পরীক্ষার্থী রিট দায়ের করে ২০১৭ সালের এই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। এই কারণে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষার সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সিনিয়র অফিসারের (সাধারণ) পদে ১ হাজার ৬৬৩টি শূন্য পদ ছিল। উক্ত পরীক্ষার আসনবিন্যাসও দেওয়া হয়েছিলো। ১ ঘণ্টার ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো।
রূপালী ব্যাংকে ২৮৩টি, সোনালী ব্যাংকে ৫২৭টি, জনতা ব্যাংক লিমিটেডে ১৬১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২৩১টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডে ৩৯টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ৩৫১টি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) ১টি এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ৭০টি পদ শূন্য রয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***
দেশের কিছু উচ্চমেধাসম্পন্ন ও অতি উৎসাহী লোকের জন্য সাধারন চাকুরি প্রত্যাশীদের এই হাল।
এই রিট আবেদন টা যারা করেছিল , জাতির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা উচিত। হাজার হাজার বেকার ছেলেদের পকেট এর হাল এর দিকে তাকিয়ে হলেও এই রিট করা উচিত ছিল না।
আমার মনে হয়, এই সমন্বিত পরিক্ষা ঘোষণা করার পর বেশিরভাগ পরিক্ষাথী খুশি হয়েছিল , বিশেষ করে যারা ঢাকার বাইরে থাকে(কারন প্রতিটি ব্যাংকের পরিক্ষা ঢাকা তে হয়) কারন প্রতিটা পরিক্ষার জন্য কমপক্ষে ২০০০ টাকা খরচ হয় । রুল জারি করলেন তো সঙ্গে এটা ও করতেন যে পরিক্ষা গূলো যেন বিভাগীয় শহরে হয়।