পীরগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র সুমন হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সেই মাদ্রাসা ছাত্র সুমন হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে এক ইউপি সদস্য সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম ও এস আই প্রলয় কুমার বর্মা গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক ঝটিকা অভিযানে বড় আলমপুর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। আতোয়ার হোসেন নামের ওই ইউপি সদস্য বড় আলমপুরের মৃত আব্দুস সামাদের পুত্র।
আরও পড়তে পারেন: পীরগঞ্জে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩
এছাড়া সুমন হত্যা মামলায় ওই রাতেই পৃথক অভিযান চালিয়ে এস আই তামবিরুল ইসলাম বিষ্ণুপুরে একটি জুয়ার আসর থেকে গাইবান্ধা সাদুল্যাপুর উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মন্ডলের পুত্র মামুন মিয়া (৪০), পীরগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র সাফিউল আলম (৩৫), এনায়েতপুর গ্রামের রবি লাকড়ার পুত্র শম্ভু লাকড়া (৪০), একই গ্রামের মোজাম উদ্দিনের পুত্র সায়েদ মিয়া (৩৬), কাবিলপুর ইউনিয়নের জাহিদপুর গ্রামের মোকলেছার রহমানের পুত্র শাহীনুর রহমান (৩৪) এবং মাদারপুর গ্রামের তারা মিয়ার পুত্র সৈকত মিয়া কে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা বর্তমানে জেল হাজতে।
আরও পড়তে পারেন: আমার পিছনে লেগে লাভ নেই, আমি আছি আর দুই মাস
গত শক্রবার ৩ জুন উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের খষ্টি পশ্চিমপাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে এবং পাটগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্র সুমন মিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করে গাছের সাথে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুমন গত বছর তার পরিচিত ১৩ জনকে নিয়ে ‘নিউমডেল ক্লাব’ নামে পাড়ায় একটি সমিতি গঠন করে। ওই ক্লাবের ক্যাশিয়ার ছিলো সে। আগের রাতে সমিতির পূর্বের হিসেব ক্লোজ করে নতুনভাবে ঋণ দেয়ার কথা ছিল। গ্রামবাসী ও পুলিশের ধারণা প্রেমঘটিত বা সমিতির আর্থিক বিষয়কে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***