বন্যা কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়কে দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা, পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ, সুদমুক্ত কৃষি ঋণ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবিতে ৭ মে রবিবার দুর্গত হাওড় অঞ্চলের মানুষের পক্ষে রংপুরবাসী’র উদ্যোগে স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রংপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহার আলী, বিজ্ঞান চেতনা পরিষদের রায়হান কবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে রয়েছে উন্মুক্ত ইউরেনিয়াম খনি। সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ‘রামসার সাইট’ খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওড়ের এই বিপর্যয়ের জন্য ভারতের ইউরেনিয়াম বিষক্রিয়াই দায়ী। ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ঝাঁকে ঝাঁকে মারা যাচ্ছে মাছ, পাখি, জলজ প্রাণী, হাঁস। পঁচা ধান, মরা মাছ, হাঁসের পঁচা দুর্গন্ধে বিপর্যস্ত পুরো হাওড়ের জনপদ। ধান ও মাছ পঁচার দুর্গন্ধ ও দূষিত পানিতে মানবদেহে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক উপসর্গ। এতবড় প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের পরও সরকার নির্বিকার। দুর্গত এলাকায় এখনও পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌছায়নি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা পায়নি তেমন কোন সরকারি সহায়তা। এই মূহূর্তে দুর্যোগ কবলিত মানুষদের বাঁচাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারি সহায়তা ও পুনর্বাসন জরুরী হয়ে পড়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ভারত একদিকে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে শুকিয়ে মারছে। অন্যদিকে বিষাক্ত ইউরেনিয়ামের দূষিত বর্জ্য হাওড় অঞ্চলের প্রাণ প্রকৃতিকে ধ্বংস করে চলেছে। এই অবস্থায় ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতি নতজানু শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অধিকার বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জরুরী।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***