রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল হাই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ১৭ জুলাই (শুক্রবার) রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
গত ২ জুলাই তার করোনা উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসলে তিনি ৩দিন হোম আইসোলেশনে থাকেন। অবস্থার অবনতি হলে ৫ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। এরপর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাকে ১২ জুলাই থেকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়। তার একমাত্র পুত্রসন্তান সাইফ মোহাম্মদ ফারাবীর নমুনা পরীক্ষা করা হলে তারও করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তবে তিনি হোম আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আরও পড়তে পারেন: নোয়াখালীর হাতিয়ায় জলদস্যু কমান্ডার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
অধ্যাপক আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবি’র সভাপতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রবাহ’ এর সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি যুক্ত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক ডিগ্রি কলেজে ও হাজী তায়েব উদ্দীন হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকতার সাথে। অধ্যাপক আবদুল হাই তার বড় ভাই রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। ৯ ভাই বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। ১৮জুলাই (শনিবার) মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন হবে।
***পীরগঞ্জ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।***